No Comments

Freelancing এর জন্য Laptop কিনতে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

Laptop for freelancing

বর্তমানে পেশা হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বেশ স্মার্ট। তবে এমন অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছে কিন্তু কি কনফিগারেশন দেখে কিনবে তা বুঝতে পারছে না। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপের ধরন ও কনফিগারেশন আপনার কাজের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। 

তাই আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী একটি হাই কনফিগারেশন ল্যাপটপ (Laptop) পছন্দ করায় উত্তম। তাইতো আজ আপনি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করার জন্য কি ধরনের ল্যাপটপ কিনবেন ও কি কনফিগারেশন দেখে কিনবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন দেরি না করে শুরু করি। 

১. পোর্টেবিলিটি

ফ্রিল্যান্সারদের প্রায়শই বিভিন্ন জায়গায় বসে কাজ করতে হয় তাই একটি পোর্টেবল ল্যাপটপ এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি হালকা ওজনের বহনযোগ্য ল্যাপটপ বা পোর্টেবল ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য বেশ উপকারী— কারণ একটি পোর্টেবল ল্যাপটপের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা যায়। 

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ (Laptop) কিনতে হলে অবশ্যই পোর্টেবল ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে এবং কনফিগারেশন বাছাই এর ক্ষেত্রে পোর্টেবিলিটির বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

২. কর্মক্ষমতা

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর ক্ষেত্রে একটি হাই পারফরম্যান্স অর্থাৎ উচ্চ দক্ষতা ও কর্ম ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ কেনার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। আপনার কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে হাই পারফরম্যান্স ও ভালো প্রসেসের যুক্ত একটি ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে। 

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা প্রোগ্রামিং এর মতো ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করেন তবে আপনাকে অবশ্যই একটি হাই পারফরম্যান্স ও ভালো প্রসেসর সম্পন্ন ভালো মানের ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের কাজের দক্ষতা ও গতি অনেকটাই ল্যাপটপের কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটি উচ্চ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ বাছাই করা বাঞ্ছনীয়।

৩. ব্যাটারি লাইফ

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য ল্যাপটপ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো ব্যাটারি লাইফ সম্পন্ন ল্যাপটপ বিবেচনায় রাখতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের প্রায় অনেকটা সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ করতে হয় আর তাই ল্যাপটপে ভালো ব্যাটারি লাইফ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

অনেকটা সময় কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ভালো ব্যাটারি লাইফ সম্পন্ন ল্যাপটপ থাকতে হবে যাতে করে অনেকটা সময় পাওয়ার আউটলেট ছাড়াই ল্যাপটপ ব্যবহার করা যায়। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ বাছাই করতে হলে অবশ্যই ভালো ব্যাটারি লাইফ সম্পন্ন ল্যাপটপ কেনার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

৪. অপারেটিং সিস্টেম

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর কাজ করার জন্য অবশ্যই একটি হাই কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ থাকতে হবে আর অবশ্যই তাতে উন্নত মানের অপারেটিং সিস্টেম থাকতে হবে। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের জন্য যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন তার ওপর ভিত্তি করে Windows, macOS, Linux ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন করতে হবে। 

সাধারণত এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমগুলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য বেশ উপযোগী এবং কাজের সময় হাই পারফরম্যান্স দেয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ ও আপনার ব্যবহৃত সফটওয়্যার অনুযায়ী একটি ভালো মানের অপারেটিং সিস্টেম সম্পন্ন ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে।

৫. র‍্যাম

ল্যাপটপে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে ল্যাপটপের র‍্যাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজের উপর ভিত্তি করে 4GB থেকে 16GB পর্যন্ত র‍্যাম এর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, প্রোগ্রামিং এর মতো উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কাজগুলো করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই 8GB বা এর অধিক র‍্যাম যুক্ত ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে। 

মনে রাখবেন আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের দক্ষতা ও গতি ল্যাপটপের র‍্যাম এর উপর অনেক অংশে নির্ভর করে। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য একটি হাই র‍্যাম যুক্ত ল্যাপটপ কিনতে হবে।

৬. গ্রাফিক্স

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কাজগুলো ল্যাপটপে করার জন্য অবশ্যই একটি হাই রেজুলেশন গ্রাফিক্স সম্পন্ন ল্যাপটপ কেনার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। 

সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজগুলো ল্যাপটপে করার জন্য একটি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড ল্যাপটপে থাকতে হয় এবং আপনার কাজের মান উন্নত করার ক্ষেত্রে এ ধরনের ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত ল্যাপটপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই হাই রেজুলেশন যুক্ত গ্রাফিক্স সম্পন্ন একটি ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে।

৭. কানেক্টিভিটি

ল্যাপটপের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে এর কানেক্টিভিটির দিকটি মাথায় রাখতে হবে। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পোর্ট থাকতে হয়। 

ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে তাই নিশ্চিত করতে হবে যে USB, HDMI, SD কার্ড স্লট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পোর্টগুলো ল্যাপটপে আছে কিনা। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এ ধরনের পোর্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের অবশ্যই ল্যাপটপের কানেক্টিভিটির বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

৮. স্টোরেজ

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য অবশ্যই বেশি স্টোরেজ সম্পন্ন ল্যাপটপ বাছাই করতে হবে। সাধারণত SSD গুলো HDD এর চেয়ে দ্রুত এবং বেশি নির্ভরযোগ্য। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার ক্ষেত্রে কাজের ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার জন্য অবশ্যই যথেষ্ট SSD ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ বাছাই করা বাঞ্চনীয়। 

SSD in Bangladesh

হাই স্টোরেজ, ভালো পারফরম্যান্স ও ভালো প্রসেসর সম্পন্ন একটি ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টোরেজ যুক্ত ল্যাপটপ বাছাই করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)  এর কাজ করার জন্য ভালো ল্যাপটপ (Laptop) কেনার কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিবেন।

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য একটি হাই কনফিগারেশন ও অধিক কর্ম ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ (Laptop) নির্বাচন করা অপরিহার্য। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় ল্যাপটপগুলো Apple, Dell, HP, Lenovo ইত্যাদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মডেলের হয়ে থাকে। 

তাই আপনার বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে অবশ্যই একটি হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ বাছাই করা বাঞ্ছনীয়। এ রকম কন্টেন্ট প্রতিনিয়ত পেতে পিকাবু ব্লগ ভিজিট করুন। 

Tags: , ,

More Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Fill out this field
Fill out this field
Please enter a valid email address.
You need to agree with the terms to proceed